বর্তমানে আমরা লেখাপড়ার পাশাপাশি অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করতে পারি। অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করার অনেক উপায় রয়েছে। তার মধ্যে সহজ একটি মাধ্যম হলো ইউটিউব। আপনারা জানেন ইউটিউব হলো একটি ভিডিও শেয়ারিং সাইট। যেখানে ভিডিও শেয়ার করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা হয়. বর্তমান সময়ে অনেক ছাত্রছাত্রীরা তাদের চাহিদা পূরণের জন্য ইউটিউবিং তাদের চাহিদা এবং তাদের অভাব পূরণ করছে এবং তাদের সফলতার পথ খুঁজে
পাচ্ছে। তাই আপনিও শুরু করে দিতে পারেন ইউটিউব এর যাননি। ইউটিউব শুরু করার আগে ইউটিউব সম্পরকে ধারণা নিতে হবে। এখানে কিভাবে কাজ করলে সফলতা পাবেন এবং এখানে কি কি নিয়ম কানুন মানতে হবে সেই সব বিষয়ে আপনারা ভালো করে জেনে নিবেন তারপর আপনি ইউটিউব জগতে আসতে পারেন। ইউটিউব জগতে আসার আগে আপনার বেশ কিছু সরঞ্জাম প্রয়োজন হবে. সেই সরঞ্জামগুলো ছাড়া আপনি কোন মতেই ইউটিউব জানি শুরু করতে
পারবেন না। আপনি যদি ইউটিউবে আপনার ক্যারিয়ার করে নিতে চান তাহলে আপনার থেকে বেশ কিছু সরঞ্জাম প্রয়োজন হবে। যেগুলোর সাহায্যে আপনি আপনার চ্যানেল টি বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং অডিয়েন্স জোগাড় করতে পারবেন। আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব সেইসব সরঞ্জামগুলি সাথে যেগুলো ইউটিউব শুরু করার আগে আমাদের প্রয়োজন হবে। আমরা ধাপে ধাপে দেখে আসি :-
1) স্মার্টফোন বা ডিএসএলআর
প্রথমে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ভালো রেজুলেশনের ক্যামেরা স্মার্টফোন বা ডিএসএলআর ক্যামেরা। যেকোনো একটা হলেই হবে যেন আপনি একটি এইচডি কোয়ালিটি ভিডিও শুট করতে পারেন।
2) মাইক্রোফোন
আপনার প্রয়োজন হবে ভালো রেজুলেশনের একটি মাইক্রোফোন। তার জন্য আপনি Original BOYA M1 Microphone ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটা হাইরেজুলেশন ভয়েস রেকর্ড করতে আপনাকে সহযোগিতা করবে এবং এতে Low handling noise বর্তমানে অধিকাংশ ইউটিউবাররা এই মাইক্রোফোন ব্যবহার করছে। তাছাড়া হেডফোন এর মাইক্রোফোন ব্যবহার
করতে পারেন এতে একটু সমস্যা দিবে। আপনার noise পরিমাণ বেশি দেখা যায় এবং কোয়ালিটি ভালো আসে না। তাই আপনি ভাল কোয়ালিটি ভয়েস রেকর্ড এমন বয়া মাইক্রোফোনটি ইউজ করতে।
আপনার ভিডিও রেকর্ড করার জন্য প্রয়োজন হবে একটি ক্যামেরা স্ট্যান্ড। একটি ক্যামেরা স্ট্যান্ড ভালো রেজুলেশনের ভিডিও দেওয়ার জন্য অনেক সাহায্য করবে। এটি আপনার ভিডিও ভারসাম্য নষ্ট হয় না এবং ভিডিও কোয়ালিটি ও নষ্ট হয় না। এতে আপনার ভাল কোয়ালিটি ভিডিও রেকর্ড পাওয়া যায়।
আপনি যদি বাসার ভিতরে একটি রুম এ আপনি যদি আপনার ইউটিউব এর ভিডিওটি রেকর্ড করতে চান তাহলে আপনার থেকে একটি Led Ring Light for Smartphone প্রয়োজন হবে. যেন আপনার ভিডিওটি সুন্দর ভাবে শুট হয় সেই জন্য। কারণ যদি আপনি এর ভিতর লাইভ ছাড়া ভিডিও শুট করতে চান তাহলে দেখা যাবে আপনার এক্সাইড আলোকিত দেখাচ্ছে আর অন্যদিকে অন্ধকার দেখা যায় তাহলে দেখা যাবে আপনার ভিডিওগুলো শুটি নষ্ট হয়ে যাবে। তাই আপনার ভিডিও কোয়ালিটি ভালো করার জন্য আপনার একটি লাইট এর প্রয়োজন হবে.
আপনি যদি আপনার ভিডিও শুট করার জন্য একটি সুন্দর জায়গা খুঁজে পাচ্ছেন না বা একটি ভালো জায়গা কোথায় নেই। তাহলে আপনি বাসার ভিতরে গ্রীন স্ক্রীন ব্যবহার করে আপনি ভিডিও শুট করতে পারবেন। ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে আপনি অন্য একটি ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের এই গ্রিন স্কিন টি ব্যবহার করার কারণটা হচ্ছে আমাদের অনেকের বাসার রুম ভাড়া থাকে না বা কোন একটা সুন্দর জায়গা থাকে না তাই আমরা একটি ভালো ভিডিও শুট করতে পারিনা তাই আমাদের কি করতে হয় গ্রীন স্ক্রীন ব্যবহার করে আমাদের ভিডিওটি রেকর্ড করতে হয় যাতে পরবর্তী সময় আমরা আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে অন্য একটি ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করতে পারি।
6) ভিডিও এডিটিং
আমাদের ভিডিও রেকর্ড করা হয়ে গেছে। এখন প্রয়োজন হবে ভিডিওটি জোড়াতালি লাগানোর। জোড়াতালি লাগানোর জন্য আমাদেরকে কয়েকটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর সহযোগিতা নিতে হবে. যেমন কি : 1) Filmora 9 2) Adobe Premiere Pro 3) ShotCut 4) PowerDirector 5) KineMaster 6) Quik 7) VivaVideo এখান থেকে চাইলে আপনি যে কোন একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। এখান থেকে মোস্ট পপুলার এবং ভেজাল মুক্ত সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন হলো : # KineMaster # PowerDirector এগুলো খুব সহজে আপনি ভিডিও এডিটিং এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এ ধরনের ডিটিং এর জন্য এই সফটওয়্যার বেস্ট পপুলার।
7) থামলাইন
আপনার ইউটিউব ভিডিও ফুটিয়ে তোলার জন্য আপনার লাগবে একটি থামলাইন। কারণ এই থামলাইনটা দেখার মাধ্যমে অডিয়েন্সরা আপনার ভিডিওটি দেখবে। তো আপনার ইউটিউব ভিডিও থামলাইন তৈরি করার জন্য বেশ জনপ্রিয় সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন হলো : # Canva # Fotojet # Fotor # PixelLab # Thumbnail, Cover, Posts & Channel Art Maker # Ultimate Thumbnail Maker For Youtube: Banner Maker এখান থেকে চাইলে আপনারা যে কোন একটি সাহায্যে আপনাদের ইউটিউব ভিডিওর জন্য থামলাইন তৈরি করতে পারেন খুব সহজে।
8) এসইও
আমাদের ভিডিওটি রেকর্ড করা বা এডিটিং করা সকল যাবতীয় কাজ শেষ এখন আমাদের ভিডিওটি আপলোড করে আমাদের অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু। এখন আমাদের অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমাদের ভিডিওটি এসইও করতে হবে। তো এসইও করার জন্য বেশ জনপ্রিয় কয়েকটি টুল রয়েছে। যে টুলগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার ভিডিওটি ভাইরাল করতে পারবেন এবং আপনার ভিডিওটি রেঙ্ক করাতে পারবেন। আপনারা চাইলে সে টুলগুলো ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারেন আবার পেট ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন। আপনাদের ইচ্ছা মত আপনারা যে টুলগুলো করবেন। এই টুলগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার চ্যানেলটি রেঙ্ক করাতে পারবেন।
এই আটটি ধাপ যদি আপনারা সবকিছু তৈরি করে রাখেন তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন এবং দেখবেন আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন এবং ইউটিউব থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন অনায়াসে। ধন্যবাদ .......
No comments: