হ্যাকিং কিংবা হ্যাকার এই শব্দটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি সকলেই পরিচিত। আমরা অনেকেই চাই হ্যাকার হতে ভবিষ্যতে প্রায়ই এখনই একজন বড় ধরনের কম্পিউটার হ্যাকার হওয়ার শখ বা স্বপ্ন আমাদের অনেকের মনে থেকে থাকে । আবার অনেকে মনে করে যে হ্যাকার হওয়া অনেক সহজ একটি কাজ যদি আপনি তাই মনে করে থাকেন তাহলে আমি মনে করব এটা আপনার ভুল। আসলে হ্যাকিং জিনিসটা পৃথিবীর সবচাইতে কঠিন ও জটিল তম কাজ গুলির মধ্যে একটি।
আপনি শুধুমাত্র হ্যাকার হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও হ্যাকার হওয়া যায় না। hacker
একজন পরিপূর্ণ হ্যাকার হতে হলে আপনার দরকার হবে কম্পিউটার ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি বিষয়ে অস্বাভাবিক রকম জ্ঞান এবং একটি গায়া । হ্যাকার একদিনে হতে পারবে না কখনোই আপনাকে হ্যাকার হতে হলে দীর্ঘদিন ধরে অনুশীলন করে যেতে হবে সাধারণ হ্যাকিং টুল কম্পিউটার ইত্যাদি সবকিছু নিয়ে। অনেকদিন ধরে ঘাটাঘাটি করতে হবে এবং মাঝে মধ্যে আপনাকে ডিউটি একটি হ্যাকিং অ্যাপ্লিকেশন এবং সফটওয়্যার তৈরি করতে হতে পারে।এসব করার পরেও যে আপনি একজন প্রফেশনাল হ্যাকার হতে পারবেন তার কোন নিশ্চয়তা নেই। hacker
আরো দেখুন : >>
সবকিছু হ্যাকিং জিনিসটা একটা ভাল কাজ না হ্যাকিংয়ের জন্য আপনি জেলেও যেতে পারেন তাই হ্যাকিং সম্পর্কে সকল ধরনের কাজ খুব সাবধানতা গোপনীয়তার সাথে করা উচিত সুতরাং আপনাকে সিকিউরিটি সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। এবার আমরা মূল কথায় আসি আপনাকে হ্যাকার
হওয়ার আগে জানো হ্যাকার কয় প্রকার এবং পৃথিবীতে কয় ধরনের হ্যাকার আছে। প্রধান তিন ধরনের হ্যাকার দেখা যায় ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার , হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার , গ্রে হ্যাট হ্যাকার , প্রচলন কোন জাতের হ্যাকার কে কি বলা হয় কি ভিত্তিতে বলা। hacker
1) ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার
ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার ধরনের মানুষদের বলা হয় যারা অন্যের ক্ষতি করে থাকে এবং বড় বড় প্রতিষ্ঠান এবং বড় বড় কোম্পানির বা ওয়েব সাইটের সকল পার্সোনাল ডাটা হ্যাক করে তারা অন্যের কাছে বিক্রি করে দেই। ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকাররা সাইবার ক্রাইম সম্পর্কিত সকল কাজে এরা লিপ্ত থাকে সাইবার অর্থাৎ এক কথায় ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার বলতে যারা হ্যাকিং করে ছেড়ে নিজের লাভে এবং অন্যের ক্ষতি করার জন্য। hacker
2) হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার
হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার হচ্ছে সেই ধরনের হ্যাকার যারা ভালোর জন্য একা কাজটি করে থাকে অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি বা কোন প্রতিষ্ঠান হারিয়ে যাওয়া ডাটা পুনরায় উদ্ধার করা বা হ্যাকিং এর মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইটে সিকিউরিটি চেক করে অর্থাৎ যারা ভালো জন্য হ্যাক করে হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার বলা হয় আবার এদেরকে ইথিক্যাল হ্যাকার ও বলা হয়ে থাকে। hacker
3) গ্রে হ্যাট হ্যাকার
যে হ্যাট হ্যাকার হচ্ছে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার এবং হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার এর মাঝামাঝি পর্যায়ের হ্যাকার অর্থাৎ এরা মাঝে মাঝে ভাল কাজ করে এবং মাঝে মাঝে খারাপ কাজের সাথে লিপ্ত হয়ে থাকে
আপনি যদি একজন প্রফেশনাল হ্যাকার হতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে কোডিং জানতে হবে পৃথিবীতে প্রায় 100 টির বেশি কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ আছে কোডিং না জানলে আপনি প্রায় হ্যাকিং কিছুই জানবেন না হ্যাকিং এর জন্য আপনাকে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম তৈরী করতে হতে পারে বা বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট সফটওয়্যার তৈরি করতে হতে পারে। হ্যাকার হতে হলে আপনাকে সব ধরনের কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ না জানলেও কয়েকটি কোডিং hacker
ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হবে যেমন কি সি সি প্লাস প্লাস , পাইথন , এইচটিএমএল, পিএইচপি ,ইত্যাদি বেশ কয়েকটি কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ আপনাকে ভালো করে শিখতে হবে এই কঠিন বা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখার জন্য আপনি ইন্টারনেটে বিভিন্ন ভিডিও পাবেন বা বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পেয়ে থাকবেন আপনি সেখান থেকে শিখতে পারেন তাছাড়া আপনি যদি অনলাইনে এসব বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি করেন তাহলে আপনাদের সামনে অনেকগুলো ফলাফল পেয়ে যাবেন যেখান থেকে আপনি খুব সহজে কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ গুলো শিখে নিতে পারবেন। hacker
দ্বিতীয়তঃ আপনাকে যা করতে হবে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ উইন্ডোজ বা দাসএর পরিবর্তে লিনাক্স ব্যবহার করতে হবে আপনি যদি অনেক দিন ধরে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন এবং যদি অপারেটিং সিস্টেম গুলো নিয়ে ভালো ধারণা থাকে তাহলে আপনি সম্ভবত লিনাক্স এর নাম শুনেছেন আবার অনেকে হয়তো লিনাক্স ও ব্যবহার করেছে।পৃথিবীতে 93.5 5% ওয়েব সার্ভারে লিনাক্স ব্যবহার করা হয় আপনি বিভিন্ন ফ্লেভারের লিনাক্স hacker
পাবেন যেমন লিনাক্স নিল , ডিপ লিনাক্স ,পিটোন লিনাক্স ইতালির আপনি যে কোন একটি লিনাক্স ওএস আপনার পিসিতে ইন্সটল করে ব্যবহার করতে পারেন।
লিনাক্স ব্যবহার করলে আপনি বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাবেন যেগুলো হ্যাকিংয়ের জন্য সবচাইতে বেশি দরকার পৃথিবীতে 95% হ্যাকাররা তাদের অপারেটিং সিস্টেমে লিনাক্স ব্যবহার করে থাকেন। hacker
তৃতীয়তঃ আপনাকে যা করতে হবে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করা ওপেন সোর্স হচ্ছে সে-ধরনের একটি সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম যেগুলো ডেভলপমেন্টের অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে ওই কোম্পানির কাজ করা কোন অংশগ্রহণকারী হবে না ওপেনসোর্স ডেভলপমেন্ট সফটওয়্যার নিয়ে যে কেউ ইচ্ছে করলে কাজ করতে পারেন আপনার টার্গেট যদি হয় হ্যাকার হওয়া তাহলে আপনার উচিত হবে ওই ধরনের ওপেন সোর্স সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করা বা সফটওয়্যার গুলি যেটা টন্সটল করা কয়েকটি ওপেনসোর্স সফটওয়্যার গুলির উদাহরণ হলো জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার মজিলা ফায়ারফক্স জনপ্রিয় ব্লগিং প্লাটফর্ম ওয়াডপ্রেস এবং লিনাক্স hacker
আপনাকে এইসব কিছু আরো ওপেনসোর্স সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে হবে হ্যাকার হতে হলে আপনাকে একটি কিভাবে হ্যাক করতে হয় তা জানতে হবে পৃথিবীর সব হ্যাকাররা বিভিন্ন ধরনের ইউনিট উপায়হীন করে থাকে হ্যাকার হতে হলে আপনাকে সেসব উপায় জানতে হবে এবং সেইসব উপায় আপনাকে অনুশীলন করতে হবে হ্যাকিং করা কয়েকটি জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে দিস্ট্রিবুতেদ দেনিয়াল সার্ভিসে এটাক এটা একটি সাধারণত ব্যবহার করবার কোন ওয়েবসাইট হ্যাক করা কাজে বা ডাউন করার কাজে কিভাবে এটাক টি কাজ করে হ্যাকাররা এই ওয়েবসাইট টিতে বা ওয়েবসাইটটিকে বিভিন্ন ধরনের ম্যালেশিয়া কমান্ড সেন্ড করে hacker
ওয়েবসাইটটিতে ঐ সব ধরনের ওইসব কমান্ড গুলি পরিষদ করতে পারে এবং পরিশেষে অফলাইন হয়ে যায় বাসাবাটি ডাউন হয়ে যাই তখন হ্যাকাররা সেইসব ওয়েবসাইটে সকল তথ্য
হ্যাকিং করে নেই .এ পদ্ধতিকে ডিএন এক্স পুকিং বলা হয়ে থাকে এ পদ্ধতিতে যেভাবে কাজ করে তা হল হ্যাকাররা আপনার কম্পিউটার কেমন করে ঠিক করে আপনার কম্পিউটার টি আপনাকে দেখা একটি নির্দিষ্ট নিরাপদ ওয়েবসাইটে কানেক্ট করে কিন্তু আসলে তা হ্যাকারদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে কানেক্ট করে যা আপনি জানতেও পারেন না এ পদ্ধতিতে হ্যাকাররা hacker
আপনার পার্সোনাল ডাটা অফ হয়ে যেতে পারে বা আপনার কম্পিউটারের কিছুটা কন্ট্রোল করতে পারে বাফার আর ওভারফ্লো অ্যাটাক এই পদ্ধতির সাহায্যে হ্যাকাররা আপনার সিস্টেমের উপর সম্পূর্ণ কন্ট্রোল পেয়ে যেতে পারেন এই কাজটি করে থাকে টেম্পোরা স্টেজ ক্সপ্রেস এর মাধ্যমে আপনি যদি হ্যাকারদের তৈরি করা কোন প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার আপনার সিস্টেমে ইন্সটল করেন তাহলে সি প্রোগ্রামের সাহায্যে হ্যাকাররা আপনার সিস্টেমের উপর সম্পূর্ণ কন্ট্রোল পেয়ে যেতে পারেন এসব ছাড়াও হ্যাক করার অনেক উপায় আছে কিন্তু এই সবগুলো বলে শেষ করা যাবেনা আমি যতটুক পারি
হ্যাকিং সম্পর্কে ধারণা দিতে পেরেছি। hacker
আপনি যদি একজন প্রফেশনাল হ্যাকার হতে চান তাহলে আপনাকে ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখতে হবে হ্যাকিং সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে হবে সর্বোপরি এই বিষয়ে এক্সপার্ট হতে হলে আপনাকে এটা নিয়ে পড়ে থাকতে হবে কিন্তু আমার জানামতে হ্যাকিং এর পিছনে আপনার সময়টা নষ্ট করে কোন লাভ নেই আপনি যে সময় হ্যাকিংয়ের পিছনে অপচয় করছেন সেটি আপনি কোন একটি ভাল কাজে ব্যবহার করলে আপনারই ভাল হবে যদিও আপনি একজন বুদ্ধিমান মানুষ হন তাহলে হ্যাকিংয়ের চিন্তাভাবনা থেকে দূরে থাকুন। hacker
আরো দেখুন : >>
হ্যাকার হতে চান তার আগে এটা একবার দেখে নিন 2020 (Hacker)
Reviewed by Sourav
on
May 27, 2020
Rating:
No comments: